গৌরীশংকর মহাপাত্র, আবেশভূমি ডিজিটাল ,এগরা কাঁথি, মেদিনীপুর পূর্ব পশ্চিম ও ঝাড়গ্রাম : পটাশপুর- ২ ব্লকের আড়গোয়াল পঞ্চায়েতের জব্দায় ৮৩ তম রাসোৎসব ও মেলার শুভ উদ্বোধন হয় বুধবার। মঙ্গল দীপজ্বেলে জবদা বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ হাই স্কুল পার্শ্বস্থ মাঠে ১০ দিনের এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এলাকার ভূমিপুত্র বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী কৃত্তিবাসা নন্দজী । স্মরণিকার উদ্বোধন করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক উত্তম বারিক। সঙ্গে উপস্থিত পটাশপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি জনাব হাবিবুর রহমান , জেলা পরিষদ সদস্য সমবায়ী গোলকেশ নন্দ গোস্বামী, বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রদীপ পাত্র ,আড়গোয়াল পঞ্চায়েত প্রধান শেখ মালেক আলী, প্রাক্তন প্রধান কল্যাণ কুমার মাইতিও শিবানী নন্দ গোস্বামী প্রমুখ । স্বাগত
ভাষণে জব্দা রাস উৎসব কমিটির সম্পাদক অপরেশ সাঁতরা জানান মেলাকে ঘিরে দশ দিন ধরে এলাকার মানুষের বিনোদনের জন্য প্রত্যহ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, যাত্রা, সেবামূলক ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি, গ্রহণ করা হয়েছে। রয়েছে মহিলাদের কাবাডি ও নানান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনার ও আয়োজন করা হয়েছে। আগামী দিনে সাংসদ জুন মালিয়া, বিধায়ক তরুন কুমার মাইতি, প্রাক্তন বিধায়ক হলদিয়া উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর প্রমুখ আসবেন বলে জানান। এই মেলায় কাঁথি-৩, ভগবানপুর ২ ,পটাশপুর -২ এবং এগরা-২ ব্লকের প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের সমাগম ঘটে। পঁচেট গড়ে
জমিদার পরিবারের রাস মেলা জেলার প্রাচীনতম রাস মেলা হলেও নি:সন্দেহে জেলার বৃহত্তম জনবহুল রাসমেলা হিসেবে জব্দা রাস মেলা তার সঙ্গত দাবিদার বলে মনে করেন অপরেশ বাবু। মেলায় রয়েছে রকমারি স্টল ,চন্দননগরের আলোকসজ্জা, নাগরদোলা, ডিস্কো টেরা টেরা, ছোটদের মিকি মাইক্স, টয়ট্রেন প্রভৃতি । উদ্বোধক অধ্যক্ষ স্বামীজী তাঁর বক্তব্যে বাল্যের স্মৃতি রোমন্থন করে স্থানীয় মানুষদের ভাবাবেগে কিভাবে আজ থেকে ৮৩ বছর আগে এই মেলার সৃষ্টি হয়েছিল তা উল্লেখ করে রাস উৎসবের পৌরাণিক প্রেক্ষাপট তুলে উপস্থিত সকলকে সমৃদ্ধ করেন। উদ্বোধনের পর গোস্বামী
পরিবার ও রথ পরিবারদের মন্দির থেকে রাধামাধব, রাধা কৃষ্ণ, ষড়ভুজ, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ মন্দিরে আসেন ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলবে। রাসের পৌরাণিক ইতিহাস তুলে ধরে মেলা কে ঘিরে প্রশাসনিক রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন সভাধিপতি। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক চন্দন কুমার নন্দ গোস্বামী । শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মেলা কমিটির সভাপতি তথা সভার সভাপতি নিত্যরঞ্জন নন্দ গোস্বামী।