গৌরীশংকর মহাপাত্র: এগরা কাঁথি : পূর্ব মেদিনীপুর। শনিবার১৫ ই আগস্ট সারাদেশের সঙ্গে পটাশপুর-২এর খাড় হাই স্কুলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস পালন হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন,প্রভাতফেরী ও স্মৃতি চারণার মধ্য দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার পন্ডা, ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষয়িত্রী শিক্ষাকর্মী ও কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী। একইসঙ্গে ঋষি
অরবিন্দ১৪৯তম জন্মদিনে তার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান পর স্মৃতিচারণায় প্রধান শিক্ষক বলেন-” আজ আমাদের অনুভবের দিন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিচারণার দিন, মুক্তির স্বাদ আস্বাদের দিন,আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের দায় বদ্ধতার অঙ্গীকারের দিন। সারা
বিশ্ব যখন অস্বাভাবিক অস্থিরতার ভয়ঙ্কর মহামারীর প্রেক্ষাপটে সংকটাপন্ন, এক সুনিশ্চিত অনিশ্চয়তার নিদারুণ আবর্তে আবর্তিত তখন আমাদের সকলকে দৃঢ় সংকল্প হয়ে এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য স্বাস্থ্যবিধিকে মান্যতা দেওয়া বা সকলকে এ ব্যাপারে সজাগ করার পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে আত্মপ্রত্যয় তৈরি করতে হবে ।সবটা নিয়ম আর প্রশাসনের উপরে ছেড়ে দিলে চলবে না। আমাদেরও এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে ।প্রত্যেক দিনের প্রত্যেক ক্ষণে মানুষ ফেলেছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। এর শেষ কোথায়? এর পরিণতি বা কি? অজানা আতঙ্কে না নিক্ষেপ করে শক্ত চিত্তের মোকাবিলা করতে হবে সকলকে। আজকের এই স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য
লগ্নে আমাদের অঙ্গীকার হোক দেশের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা, অখন্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৌভ্রাতৃত্বের স্বার্থে সকলের সংহতির। শেষে এই দুর্দিনে জীবনানন্দের একটি কবিতার প্রসঙ্গিক উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেন –
“আমাদের দেখা হোক মহামারি শেষে,
আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে।
আমাদের দেখা হোক জীবাণু ঘুমালে
আমাদের দেখা হোক সবুজ সকালে
আমাদের দেখা হোক কান্নার ওপারে আমাদের দেখা হোক সুখের শহরে”