প্রকাশ কর :এগরা কাঁথি:মেদিনীপুর পূর্ব পশ্চিম।বিশ্বজুড়ে করোনা মড়কের সংকট কালে সাধারণ মানুষ লকডাউনে গৃহবন্দী। যেখানে আক্রান্তের পাশে তার পরিবার পরিজন ও স্বজনেরা দাঁড়িয়ে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায়ের অছিলা এড়িয়ে বাঁচছেন, তখন আক্রান্তের কাছে থেকে সবরকম সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের কর্তব্য পালন করে সামনের সারিতে থেকে করোনা মোকাবিলা করেছেন এক শ্রেণীর যোদ্ধারা।সেইসব যোদ্ধার লড়াইকে সম্মান জানাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এগরা উইকেয়ার’ শনিবার ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে এগরা ও কাঁথি শাখার পক্ষ থেকে তাদের কিছু নির্বাচিত’কে
সম্বর্ধনা জানান হয়। সংস্থার এগরা কার্যালয়ে এগরা দমকল বাহিনী,এগরা থানার ওসি এবং এগরা মহকুমা হাসপাতাল সুপার ও ব্লক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী,আশাকর্মী সহ “সব্যসাচী” পত্রিকার শুভম সিং ও অন্য দুটি সংস্থার নন্দন বেরা, গৌতম পাত্র প্রমুখ সাংবাদিকদের ও হাতে স্মারক,গাছের চারা,কলম ও উপহার সামগ্ৰী দিয়ে সম্মাননা
জ্ঞাপন করা হয়।সংস্থার কাঁথি শাখার পক্ষ থেকে দৈনিক চেতনার সাংবাদিক গৌরীশংকর মহাপাত্র ও কিংশুক পল্লব মাইতি ও অন্য দুটি সংবাদ মাধ্যমের দুই সাংবাদিক চিনময় গিরি ও অলক পন্ডাকে,সঙ্গে দারুয়া হাসপাতাল সুপার,কাঁথি
ব্লাড ব্যাংকের আধিকারিক, কাঁথি থানার আই সি সুনয়ন বসু, কাঁথি মহিলা থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি সহ – ১জন সিভিক ভলেন্টিয়ার’কে তাদের কার্যালয়ে গিয়ে উপহার সামগ্রী দিয়ে সম্বর্ধনা জানান।
স্বাস্থ্যকর্মী মিঠু সিং বলেন- “এগরা উইকেয়ারের এই সুন্দর প্রয়াসকে ধন্যবাদ জানাই।সবার পাশে দাঁড়িয়ে করোনা মোকাবিলা করতে হবে৷। গুজবে না থেকে সাধারণ মানুষ করোনা রুখতে প্রশাসনের পাশে দাঁড়াক।”দমকল ওসি নিমাই ব্যানার্জি বলেন-“তাদের কর্মকাণ্ডে স্বাস্থ্যকর্মীরা উৎসাহিত হবে,ধন্যবাদ জানাই সংস্থার সকলকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলে এগিয়ে আসুক করোনা
মোকাবিলায়।”“এগরা প্রেস ক্লাব” সম্পাদক তথা দৈনিক চেতনা পত্রিকার সাংবাদিক গৌরীশংকর মহাপাত্র তার প্রতিক্রিয়ায় জানান -” এগরা উই কেয়ার বরাবর ব্যতিক্রমী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে মানুষের নজর কেড়েছে, আশাকরি আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে” এই প্রত্যাশা রেখে বরাবরের মত তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।সংস্থা
সভাপতি উজ্জ্বয়িনী ব্যানার্জি জানান, “করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন এমন পুলিশ, প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিক। তাদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানিয়ে পাশে দাঁড়াতে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। আমরাও তাদের পাশে এভাবে থাকতে চাই।”