গৌরীশংকর মহাপাত্র: দৈনিক আবেশভূমি: এগরা কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর।না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন পশু চিকিৎসক ডা: ক্ষুদিরাম মন্ডল। বৃহস্পতিবার বেলা১০-৩০ এ নিজ বাসভবন পটাশপুর-২এর মথুরা পঞ্চায়েতের মংরাজ সামিল দেউলবাড় গ্ৰামে। বাল্যে পিতৃ বিয়োগে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে কলেজ স্তরে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ না পেলেও নিজের চেষ্টায় এলাকায় সুনামের সঙ্গে গবাদি পশু পাখির চিকিৎসা করতেন।ছোট ভাইকে পুত্র স্নেহে উপযুক্ত করার চেষ্টা জানা সকলের। মংরাজ দেউলবাড় ভাগবত সংস্থা প্রতিষ্ঠাতা ক্ষুদিরাম বাবুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বেশ কয়েক মাস তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। জীবনে খেলাধুলা করতে গিয়ে সমবয়সীদের নিয়ে মংরাজ স্কুল মাঠে লক্ষ্মী পূজার আয়োজন, পূজাকে ঘিরে সৌখিন যাত্রাদল গঠন, “রোদন ভরা বসন্ত”, “শাঁখা সিঁদুর আলতা”, “শেষ প্রদীপ,” প্রভৃতি পালায় অভিনয়, পার্শ্ববর্তী তাহালিয়া বাসন্তী পূজায় নিজেদের যাত্রাপালা না করতে পারার যন্ত্রণা থেকে প্রয়াত উমাশংকর মহাপাত্র, যোগেশচন্দ্র মহাপাত্র, পরেশ চন্দ্র মহাপাত্র, নলিনী ঘোডুইদের সঙ্গে অশোক মহাপাত্র, কালিকৃষ্ণ জানা, জগন্নাথ ঘোড়ুই,কানাইলাল ঘোড়ুই খুড়তুতো ভাই অভিরাম ও ভৃগুরামদের নিয়ে মংরাজ বাসন্তী পুজোর উদ্বোধন, বাসন্তী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ, এলাকায় পূজা মেলা সাস্কৃতিক মানোন্নয়নে সবার সঙ্গে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে বাবাকে না পেলেও কাকা মহেন্দ্রনাথ এর প্রশ্রয় ছিল অসীম। অল্পে রেগে গেলেও মনটি ছিল উদার। জীবনে বামপন্থায় আস্থাশীল ক্ষুদিবাবুর বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা ছিল বিস্তর। সমসাময়িক পঞ্চায়েত সদস্য রামশংকর মহাপাত্র ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহপাঠী শিবশংঙ্কর মহাপাত্রদের সঙ্গে ছিল পারিবারিক সম্পর্ক। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, হোমিও চিকিৎসক ভাই ডা: অশোক মন্ডল, পুত্র পুত্রবধূ, কন্যাসহ অসংখ্য গুনমুগ্ধ। তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে সন্তপ্ত পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানিয়ে সহপাঠী শিবশংঙ্কর মহাপাত্র ও রামশংকর বাবু বলেন ক্ষুদিবাবুর মৃত্যুতে গ্ৰাম্য প্রতিষ্ঠান গুলি স্বজন ও এক উদার দক্ষ সংগঠক হারালো। মত পার্থক্য থাকলেও কখনো সম্পর্কের অবনতি হয় নি, পারিবারিক সম্পর্ক ছিল আমৃত্যু, এমন সম্পৃতি আগামী দিনে সত্যি দুষ্কর।