দৈনিক আবেশভূমি,এগরা:- গ্রামের এক পরিবারকে সরাসরি বয়কট করার অভিযোগ উঠলো এগরা -২ ব্লকের নরাজপুরে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্লকের দেশবন্ধু পঞ্চায়েতের নরাজপুর গ্রামের মনোরঞ্জন খাঁড়ার পরিবারকে গ্রামবাসী বয়কট করেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী মনোরঞ্জনের দাবি, চলতি বছরে ৫ আগষ্ট আমার মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ১১ সাল থেকে তিনি ক্যান্সার ও হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন। এর আগেও দু’বার আত্ম্যহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে আমরা রক্ষা করি। বহু চেষ্টা করেও তাঁকে হেপাটাইটিস থেকে মুক্ত করতে পারি নি। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তারপর থেকে গ্রামবাসীরা ১০ লক্ষ টাকাজরিমানা করে এবং ২.৫ বিঘা সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমরা তা করতে রাজি হইনি।
মনোরঞ্জনের স্ত্রী সৌদামিনি খাঁড়া সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, ২৩ আগষ্ট কে বা কারা মিনি ডিবটিউবওয়েল কেটে ইঁট দিয়ে ভেঙ্গে নষ্ট করে। চারপাশের গাছপালা কেটে নষ্ট করে। ডিপটিউবয়েলের টাকা পয়সা আটকে রাখে। মনোরঞ্জন বাবু ও তার ছেলে আটক করেএবং সাদা কাগজে সই করে নেয়। ফলস্বরূপ আমাদেরকে গ্রামে একঘরে করে রাখে। বাড়িঘর ভেঙ্গে দেয়, প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। ইলেকট্রিক লাইন, জলের পাইপ কেটে দেয় গ্রামবাসীরা। এমনকি হাটবাজার যাওয়ার পথ ও বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। আমাদের জীবন জীবিকা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনোঞ্জনার খাঁড়া কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থহন। হাইকোর্টের রায় অভিযোগকারী মনোরঞ্জন খাঁড়ার পক্ষে যায়। তবে হাইএকার্টের নির্দেশে মনোরঞ্জন বাবুর বাড়ীতে আামী তিন মাস পুলিশ নিরাপত্তা থাকবে। দু’জন কনস্টেবল ও ১ জন সিভিক মোতায়েন হয়। বৃহস্পতিবার এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় দেশবন্ধু পঞ্চায়েত কার্যালয়ে একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এগরা থানার আইসির উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে অলোচনা হয়। আলোচনায় প্রশাসনের কথা মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর। এবিষয়ে দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অলোক মহাপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে অবিলম্বে এই সমস্যার সুরাহা হবে।