আবেশভূমি:- বাবার পদত্যাগে গর্বিত ছেলে ফেসবুকে নিজেই পোস্ট করে সেই ‘আবেগ’ ব্যক্ত করলেন অখিল-পুত্র সুপ্রকাশ। অখিল বিধায়ক অনেকদিনের, মন্ত্রী তিন বছরের। তাই মন্ত্রিত্ব যাওয়া নিয়ে ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব রামনগরের বিধায়কের। নিজেই অখিল বলেছেন- “২০১১ সাল থেকে মন্ত্রী ছিলাম না। তাই মন্ত্রিত্ব যাওয়াটা কোনও বড় ব্যাপার না।” সোমবার অখিল ইস্তফাপত্র পাঠাতেই সুপ্রকাশ গিরির ফেসবুক পোস্ট, ‘মাথা নিচু নয়, উঁচু করে ইস্তফা দিয়েছো, Hat’s off বাবা।’
সুপ্রকাশ লেখেন, ‘যাক অন্তত দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হতে হয়নি, সাসপেন্ড হতে হয়নি বা ইস্তফা দিতে হয়নি। অসহায় গরিব দলিত পরিবারের মানুষদের জন্য লড়াই করতে গিয়ে জিততে পারোনি , হেরে গেছো।‘
মহিলা ফরেস্ট রেঞ্জারকে ভরা ময়দানে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অখিল গিরি। ‘বেয়াদপ, জানোয়ার’, বাদ যায়নি কোনও শব্দেরই ব্যবহার। হুমকি দেন, “আপনার আয়ু ৭-৮ দিন, ১০ দিন। আমি আপনাকে বলছি। আপনি আমাকে চেনেন না। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম। এরকম জানোয়ার, বেয়াদপ রেঞ্জার আসেনি কখনও।”
এরপরই দলের তরফে অখিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়, একইসঙ্গে ছাড়তে বলা হয় পদ। অখিল রাতারাতি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন, তবে সাফ জানান, ক্ষমা তিনি চাইবেন না। বলেন, “পুলিশ, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের লোকজন ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওই মহিলা যিনি এখানে রেঞ্জার হয়ে এসেছেন খুবই খারাপ ব্যবহার করেন মানুষের সঙ্গে। আমি মনে করি ওখানে আমাদের লোকেরা অনেক শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন।”