গৌরীশ‌ংকর মহাপাত্র , এগরা : মঙ্গলবার ভোরে নিজের সবংয়ের বাস ভবনে অকালে ঝরে গেলেন এক সম্ভাবনাময় কবি গবেষক ও শিক্ষক গৌতম পাত্র(৩৮)।দীর্ঘ দিন আলসারেটিভ কোলা ইটিসে ভুগছিল।বৎসরে ৩-৪ বার চিকিৎসার জন্য পাড়ি দিতেন হায়দ্রাবাদ।এ বৎসর ও ব‍্যতিক্রম হয়নি । চেকাপ শেষে দিন কয়েক আগে বাড়ি ফেরেন , হঠাৎ পিঠে যন্ত্রণা হলে পরিবারের লোকেরা মেদিনীপুরের এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন শুক্রবার।সোমবার ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। রাতে রক্ত বমি হয় মঙ্গলবার ভোরে তিনি অমৃতের সন্ধানে পাড়ি দেন।

 

“কথামেঘ”পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সহ সম্পাদক গৌতম বাবু জন্মসূত্রে সবং থানার চা‌ঁদকুড়ি গ্ৰামের কাত্তিক ও রঞ্জনার জ‍্যেষ্ঠ এবং কর্মসূত্রে পটাশপুর- ২ব্লকের শ্রীরামপুর হরপ্রসাদ বিদ‍্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন। সবং আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষণায় ও গবেষণাপত্র নির্মাণে দীর্ঘ আট বৎসর ” পদচারণা সবং ” এর যত্র তত্র।কবি বা সাহিত্যিক সম্বোধনে তার আপত্তি, প্রবন্ধ রচনায় আগ্ৰহ ছিল প্রবল, পত্রপত্রিকা সংগ্ৰহে ও সংরক্ষনে ছিল অদম‍্য কৌতূহল, মাঝপথে থেমে গেল সবং এর অপ্রকাশিত বহু কথা।

 

বন্ধু সবং এর শান্তনু অধিকারী জানান গৌতম বাবুর অভাব পূরন হবার নয়,তার অসমাপ্ত কাজ আমি পূরণ করব।২০০৬ এর ২৩ মার্চ শ্রীরামপুর স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান,ছাত্র দরদি এমন শিক্ষকে মৃত্যু সংবাদে বিদ্যালয় শোকের ছায়া ।এই কারণে ছুটি ঘোষণা করে। সহকর্মী গনিত শিক্ষক কবি মানস মাইতি বলেন “ভাবতে পারছি না গৌতম বাবু নেই।তার দুটি ছেলের মুখ খুব করে পীড়া দিচ্ছে, বাবা হারিয়ে কি ভাবে বাঁচবে ছেলে দুটি, ঠাকুর ওদের ভরসা।”ভূগোল শিক্ষক দেবাংশু দাসের বাড়ি পাশাপাশি, কর্মস্থল একই স্কুলে হওয়ায় পারস্পরিক নি্র্ভরতা ছিল প্রবল ,তিনি হতবাক। ইংরেজি শিক্ষক বিষ্ণুপদ বর্মন ও জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক দেবাশীষ জানারা বলেন এক ছাত্রদরদী উদার মনের শিক্ষকে বিদ‍্যালয় হারাল। এ অভাব পূরণের নয়।গৌতম বাবু রেখেগেলেন বাবা মা, স্ত্রী, দুই ছেলে, ছোট্ ভাই ও অসংখ্য গুনমুগ্ধ ছাত্র ছাত্রী অনুগামী।তার এই বিপর্যয়ে শ্রীরামপুর গ্ৰাম শোকাহত ।

Share

One thought on “আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক বিজ্ঞান শিক্ষকের অকাল প্রয়ানে বাকরুদ্ধ শ্রীরামপুর”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *