প্রদীপ কুমার মাইতি,তমলুক : ময়না বিধানসভা-সহ সারা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পুলিশি সন্ত্রাস এবং বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল বিজেপি।এ দিন তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির উদ্যোগে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ চলে।তবে বিশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে মোতায়েন ছিল বিশাল সংখ্যক পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, জলকামান, কাঁদানেগ্যাস রাখা হয়।এ দিন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর-সহ বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা মাণিকতলাতে তমলুক-মেচেদা রাজ্য সড়কের উপর বসে পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর পুলিশকে দেখে বলেন, “আমাদের লজ্জায় মাথানত হচ্ছে।এরা কারা।এরাই দায়িত্ব নিয়েছে আমাদের।এরা (পুলিশ) রক্ষক নয়, এরাই হল ভক্ষক।এরা যদি ‘অধিকারী’ পরিবারের কাছে গিয়ে থালা পেতে ভিক্ষা চাইত তখন আমার আনন্দ হত।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতবর্ষ।তাহলে কোথায় গেল গণতন্ত্র? খাঁকি পোশাককে আমরা সম্মান করি।কিন্তু এখানকার পুলিশ নিরপেক্ষ নয়।” তিনি আরও বলেন, “সর্বত্রই বাটি পেতে পুলিশ ভিক্ষা চায়।এদের লজ্জা হওয়া উচিৎ।আপনারা অনেক তামাশা দেখিয়েছেন।এবার এমন আগুন জালবো এখানে যে অধিকারীর পরিবারের বাপের ক্ষমতা নেই আপনাদের (পুলিশ) রক্ষা করবে।

      পুলিশ কে বলবো পক্ষপাতিত্ব না করে এবার মানুষ যাতে তার ভোটটা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করুণ।পরিবারতন্ত্রের দাসত্ব করবেন না।আমাদের ১৭ টা রাজ্যে দশ কোটি ভোটার রয়েছে।আমরা আইনটা ভালো করে জানি।” তাঁর দাবি, জেলা পুলিশ সুপারের অপসারণের জন্য আমাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ।পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তো হাজার হাজার হয়ে গেছে।প্রত্যেকটা থানার ওসিদের দিয়ে গ্রামে গ্রামে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে, তা আমরা উনার (পুলিশ সুপার) অপসারণের দাবি করছি।

      উনি যদি সতর্ক হন তা ভালো, আর তা না হলে আগামীদিনে বাংলার মানুষ যা কোনদিন দেখেননি ঠিক সেই ধরনের আন্দোলনে নামতে চলেছি।তবে ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ভি সোলেমান নেসাকুমারের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।এ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন জেলা বিজেপির অবজারভার সমীরণ সাহা, তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস, সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়ক, যুব নেতা নীলাঞ্জন অধিকারী প্রমুখ।

      Share

      Leave a Reply

      Your email address will not be published. Required fields are marked *