সঞ্জীব আচার্য্য ,পটাশপুর–: নির্বাচন  যত এগিয়ে আসছে  মেরুকরন তা তীব্র হচ্ছে।শাসক দল ও বলছে  আন‍্য দল ভেঙ্গে লোক দলে যোগ প্রতি পক্ষেরওযোগ দানের  দাবি অব‍্যা্হত। ভাঙ্গা গড়ার মধ্যে আসল  খেলা দেখতে অবশ্যই সবাই অপেক্ষা করতে হবে। ২৩ মে  পরিষ্কার হয়ে যাবে সবচিত্র।ভোটের মুখে ভাঙ্গন তৃণমূল ও সিপিএম এর ঘরে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার অন্তর্গত গোবর্ধনপুর ১১৭ নং বুথে ও খড়াইকোটবাড় এই দুটি গ্রামের প্রায় বেশ কিছু সিপিএম ও তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।জানাযায় এরা সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

সেখ আনোয়ার আলী ও সেখ মতলেব প্রমুখের হাত ধরে বিজেপি তে যোগ দেয়।
তাদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন( মন্ডল সম্পাদক) প্রাণতোষ আচার্য,(মন্ডল সভাপতি) অমলেন্দু দাস,(যুব সাধারণ সম্পাদক) রাজু বেরা।

    এই বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবম পাল তিনি বলেন  তৃণমূলের কোন নৈতিক মতাদর্শ নেই ,জাতীয় বা কোন আন্তর্জাতিক মতাদর্শ নেই ।মমতা ব্যানার্জি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন কে বিশ্বাস করে আস্থা রেখে কাতারে কাতারে মানুষ 2011 সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভোট দিয়েছিল আশীর্বাদ দিয়েছিল পরবর্তী এই ৮-৯ বছরে তৃণমূলের এক গ্রাম স্তর পর্যন্ত হাড়ে হাড়ে বুঝে নিয়েছে এই দলটি হচ্ছে একটি সিন্ডিকেটের দল ।প্রত্যেক কাজে কমিশন দিতে হচ্ছে, 100 দিনের কাজ সহ সর্বত্র কমিশন দিতে হচ্ছে, এমনকি পাড়ায় যদি একটা টিউবয়েল বসে তার জন্য সাধারণ মানুষকে টাকা দিতে হয়। সাধারণ মানুষের আরৎতৃণমূলের প্রতি  আস্থা নেই। গ্রাম গঞ্জে কোন অসুবিধে হলে মমতা ব্যানার্জী তো বাঁচাবে না বাঁচাবে একমাত্র ব্লক, অঞ্চল বা বুথ  স্তরের নেতৃত্বরা। তারাই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত আর মানুষের আপদ বিপদে কাছ থেকে সম্পূর্ণ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। তাই যারা এই তৃণমূল দলটা কে ভোট দিয়েছিল তারা হাড়ে হাড়ে বুঝে গেছে তৃণমূল আর যা করুক এদের দ্বারা রাজ্য বা দেশের মঙ্গল হবে না ।তাই দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে।

    Share

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *