সঞ্জীব আচার্য্য,পটাশপুর :- পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গেল পটাশপুর, ভগবানপুর ও খেজুরিতে।মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে পরপর ৩ টি জনসভা করে কার্যত প্রচারে ঝড় তোলেন শুভেন্দুবাবু। পটাশপুর-২এর পঁচেটগড়ে উপচেপড়া জনসভায় এদিন মন্ত্রী বলেন এই কেন্দ্রের প্রার্থী শিশির বাবুকে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী কারাতে হবে ।এছাড়া ভগবানপুরের মুগবেড়িয়া এবং খেজুরির বটতলার সভাতেও ভীড় ছিল ঈর্ষণীয়।প্রতিটি সভাতে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি এবং ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব।প্রতিটি সভাতে পরিবহণমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে।তিনি বলেন,” বিজেপি সত্যি কথা বলে না। ৫ বছরে দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করছে। কালো টাকা উদ্বার হয়নি, কারুরই একাউন্টে একটা ও টাকা ঢোকেনি, নোট বন্দীতে মানুষের যন্ত্রণা আপনারা দেখেছেন, এই সময় বাহিরে বিভিন্ন কাজে থাকা বহু মানুষ কর্মচূত হয়েছেন, পেট্রোপন্ন্যর মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে,আর আম্বানি -নীরব মোদিদের ঋণ শোধ না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
উৎসবে অনুষ্ঠানে মেলা পার্বনে এদের দেখা নেই কেবল মানুষে মানুষে বিভাজনের নোংরামি ,কে কি খাবে খাবেনা তার সমালোচনায় ব্যাস্ত ।গত সাত বছরে মানুষের জন্য বহু কাজ করছে আমাদের সরকার।তাই এই নির্বাচনে কেন্দ্র-রাজ্যের কাজের তুলনা করে ভোট দিন তৃণমূল কংগ্রেস কে।” তিনি আরও বলেন,” জিএস টির চাপে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সবাইই ক্ষতিগ্রস্ত । মানুষের আমানতও লুট হচ্ছে।দেশবাসীর আচ্ছেদিন না এলেও বিজেপির আচ্ছেদিন এসেছে।তাই এই সরকারকে অপসারণ করতে হবে।” বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে বলেন,” মানুষ সরকারের কাজ দেখে ভোট দেয় কিন্তু বিজেপি কাজের কথা মানুষকে বলতে পারছে না।।নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ধর্মের কথা বলছে। দেশের সম্প্রীতি, ঐতিহ্য নষ্ট করে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে।ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাইছে বিজেপি।এখন আর বিদেশ থেকে কালোটাকা ফেরত এনে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলছে না।গরীব মানুষ ও কৃষকের কথাও বলছে না।হিন্দুত্ব ও যুদ্ধ নিয়ে ভোট চাইছে।”এদিন রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নের কথা তুলে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলই একমাত্র দল যারা সারাবছর ধরেই মানুষের পাশে থাকে।
আগামীদিনে যাতে জেলার আরও উন্নয়ন হয়, সেই জন্য তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করতে হবে। কেন্দ্র থেকে মোদিকে হটাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব পারে মোদিকে দিল্লী থেকে হটাতে,।মমতার হাত শক্ত করতে তৃতীয়বারের জন্য শিশির বাবুর দরকার।আর সেই জয়ের ব্যাবধান চাই তিন লক্ষ। সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় কর, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মৃনাল কান্তি দাস ,ছোট পর্দার নাযিকা প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ।অন্যান্য দের মধ্যে ছিলেন সমবায় সেলের সভাপতি দুরগাপদ পাহাড়ি, সমবায়ী গোলকেশ নন্দ গোস্বামী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নীলমাধব দাস অধিকারী সহ সমস্ত পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যারা, পঁচেট পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না পট্টনায় ,উপ প্রধান প্রনব কর সহ ব্লকে সমস্ত প্রধান উপ প্রধান গন।