দৈনিক আবেশভূমি ডেস্ক: এগরা কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর।। পেঁয়াজ, আলু,শাকসব্জী, অানাজ-মসালা,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যে গৃহস্থের হেঁসেলে অাগুন।রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের হম্বিতম্বিই সার।কালোবাজারি ও মজুতদারদের পোয়াবারো। বাজারে দামের রিমোর্ট কন্ট্রোল ফড়েদের হাতে। খুচরো বাজারে প্রতি কেজি জ্যোতি অালুর দাম ৩২-৩৫ টাকা,চন্দ্রমুখী অালু৩৬-৪০ টাকা,কেজি পিছু কাঁচালঙ্কা ১৫০-১৬০ টাকা,বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫-৬০টাকা,পটল ৫০ টাকা,চিচিঙ্গা ৪০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,টমেটো ৮০-১০০ টাকা, শশা ৫০ টাকা,অাদা ২২০ টাকা, রসূন ২০০ টাকা,পিঁয়াজ ৩৬-৪০ টাকা,বরবটি ৩৫-৪০ টাকা,
লাউ ২০ টাকা,পেঁপে ২০ টাকা,ঝিঙে ৩৫ টাকা।সব্জীর দাম নিয়ন্ত্রণে এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের হাঁকডাক’ই সার।রাজ্য সরকারের কোন কতৃত্ব অাছে বলে মনে হয় না।সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবকে ই-মেইল পাঠিয়ে অবিলম্বে অালু,পেঁয়াজ সহ শাকসব্জী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে লাগাম টানার দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন রাজ্যে এখন নৈরাজ্য চলছে। হিমঘরে অালুর মজুত যথেষ্ট থাকা সত্বেও অালু সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে মুনাফার পাহাড় গড়ে তুলছে। শাসকদলের মদতপুষ্ট ফড়েরাই দামকে বেলাগাম করে দিয়েছে। চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায়না। অথচ নেপোয় মারে দই-র
মতো মুনাফা লোটে মধ্যসত্বভোগীরা।লাভের গুড় পিঁপড়ে খায়। জনগণের দুর্দশা লাঘবে সরকারের সক্রিয়তার দাবী জানান।একই সঙ্গে তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে অভিযোগ করেন করোনা লকডাউন জনিত কারণে কর্মহীন মানুষজনের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। মানুষের হাতে নগদ অর্থের অভাব। ক্রয়ক্ষমতা ক্রমহ্রাসমান। অথচ ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য মানুষের বেঁচে থাকাকেই দুষ্কর করে তুলেছে।