জয়দীপ মৈত্র:দক্ষিণ দিনাজপুরঃ রাত পোহালেই সারা বাংলা জুড়ে নানান কলকারখানা সহ অনেক দোকান, লোহা লক্কড়ের দোকান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূজিত হবেন কারিগরি দেবতা তথা বিশ্বকর্মা। সাথে সাথে বৃহস্পতিবার মহালয়ার পূণ্য তিথিতে পিতৃ পক্ষের অবসান হয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা। আগামীকাল ভোর থেকেই মাতৃপক্ষের সূচনার সাথে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গো উৎসবের দামামা বেজে উঠবে।
প্রসঙ্গত, এবছর করোনা আবহ তথা লকডাউনের জেরে বিশ্বকর্মা প্রতিমার বায়না তেমন না পাওয়ায় মাথায় হাত কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। তবে লকডাউন শিথিল হতেই মুখে হাসি ফুটেছে মৃৎশিল্পীদের। বাঙালির আবেগের ওপর অন্য কিছু হয় না কারণ বিশ্বকর্মা পূজা মানেই আগমনীর বার্তা। বিশ্বকর্মা পুজো শুরু হওয়া মানে দেবী দুর্গার বোধন শুরু হওয়া তাই খুশির জোয়ারে ভাসতেই আগামীকাল বিশ্বকর্মা পুজোর পুণ্য লগ্নে নদীতে পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে তর্পণ করবেন অনেকে। তার আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের বিশ্বকর্মা প্রতিমার শেষ তুলির টান দিতে দেখা গেল।তাদের প্রস্তুতি ভীষণভাবে তুঙ্গে কারণ রাত পোহালেই অর্ডার করা বিশ্বকর্মা প্রতিমা পৌঁছে দিতে হবে নানান জায়গায়। এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া এলাকায় শিল্পী ভুবন শীল জানান, লকডাউনের জেরে প্রতিমা বিক্রি ও বায়না না পেয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হতেই ও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এগিয়ে আসর আগে থেকে বিভিন্ন ক্লাব অন্যান্য কারখানা দোকান বড় বড় বাড়ি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট-বড় নানান ধরণের বিশ্বকর্মা প্রতিমা বায়না করে যাচ্ছেন, আগামীকাল ডেলিভারি দিব তাই শেষ প্রস্তুতি চলছে, ভগবান মুখ তুলে তাকিয়েছেন। তবে বলাই বাহুল্য প্রতিমা বিক্রির বায়না পেয়ে হাসি মুখে মনের আনন্দে কারিগরি দেবতা তথা বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পীরা। আগামীকাল মহালয়ার পূণ্য তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন শুরু হবে কুমোরটুলিতে কারিগরি দেবতা তথা বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির শেষ প্রস্তুতি তুঙ্গে।