গৌরীশংকর মহাপাত্র :এগরা কাঁথি :পূর্ব মেদিনীপুর।প্রয়াত নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের দীঘা কাঁথি শাখার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা কৃষ্ণা পাহাড়ী (৭৮)। শনিবার ভোর রাত ৩-৪৫মিনিটে নিজের কাঁথি জুনপুটস্থিত বাস ভবন পিত্রালয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গত কয়েক মাস তিনি মারণ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই দক্ষ সংগঠক রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত সর্ব ভারতীয় এই সংগঠনটির কাঁথিতে “দীঘা কাঁথি শাখার “প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৯৫তে। তাঁঁর হাত ধরে কাঁথির বহু কবি সাহিত্যিক পাদ-প্রদীপের আলোয় আসেন। কাঁথিতে ২০০৮ও ২০১৮ তে দুই বার রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তার নেতৃত্বে। ১৯৯৭তে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংস্থার গভর্নিংবডির সভাও করেন। ২০০২তে সর্বভারতীয় সংস্থা তাকে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরষ্কারে পুরষ্কৃত করে, ২০১৮তে ২১তম রাজ্য সম্মেলনে তাঁর নেতৃত্বে কাঁথি দীঘা শাখা শ্রেষ্ঠ শাখার সম্মাননা পায়। তিনি আজীবন রাজ্য সমিতির সহ সভাপতির পদে ব্রতী ছিলেন। কভিড পরিস্থিতির মধ্যেও গত ডিসেম্বরে সংস্থার রজত জয়ন্তী পালন শেষে অসুস্থতার কারনে
স্মৃতির বড় বেদনার, ফাইল চিত্র: সম্পাদিকা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ২২শে ফেব্রুয়ারি সংস্থা স্মারক ও মানপত্র দিয়ে এই সংগঠককে বিদায় সম্বর্ধনা জ্ঞাপনও করে। আজ তাঁর প্রয়ানে কাঁথি শাখার সঙ্গে সর্বভারতীয় সংস্থায় ও শোকের ছায়া নেমে আসে। কাঁথি ক্রেতা সুরক্ষা সমিতি প্রতিষ্ঠায় তার উল্লেখ যোগ্য অবদান রয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর সংস্থা সদস্যগন তাঁঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সম্পাদক দেবাশিস মাঝি,হরিশ্চন্দ্র দাস, রীনা দাস,তাপস কুমার বেরা,মহামায়া রায়,তমালপল্লব বিশ্বাস, সুচিত্রা দাস,তরুণ মহাপাত্র, শুভেন্দু খাটুয়া, দয়াল চাঁদসাহু, চন্দ্রামনি দাস, প্রমথেশ মন্ডল, সুকোমল নন্দ,অলকা ডিঙ্গাল প্রমুখ বাড়িতে হাজির হয়ে মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।সংস্থার রাজ্য সচিব অনিল ধর শোক প্রস্তাব পাঠান। কাঁথির প্রয়াত চিকিৎসক ডা: সত্যেন্দ্রনাথ পালের ৩ পুত্র ও ৩কন্যার জেষ্ঠ্যা অপুত্রক বাল্য বিধবা কৃষ্ণাদি বরাবর কাঁথি জুনপুট মোড়স্থিত ভায়েদের কাছে থাকতেন। জীবনে কিছু দিন বেসরকারি স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। শনিবার দুপুরে খড়্গচন্ডী মহাশশ্মানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যু কালে তিনি রেখে গেলেন দুই ভাই ভাতৃবধূ ও অসংখ্য গুনমুগ্ধ।