গৌরীশংকর মহাপাত্র: এগরা কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর। সহকারে ফিরে ডবল শিক্ষক নিয়োগ, রেশনের জন্য লাইনে নয় বাড়িতেই পৌঁছে যাবে, কৃষকদের বছরে ১০ হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হবে,নবম শ্রেণীতে উঠলে ছাত্র-ছাত্রীদের সবুজসাথী, দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠলে একাউন্টে ১০হাজার টাকা ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য, বাড়ির মহিলারা বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন স্বাস্থ্য সাথীতে, চাইলে বাবা-মায়েরও চিকিৎসা করাতে পারবেন। বাবা-মায়ের গ্যারান্টিতে উচ্চশিক্ষার জন্য লোন একাউন্ট খুলে দেওয়া হবে যাতে ডাক্তারী ও ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বৃত্তিমূলক পঠন-পাঠনে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরী করতে পারে। আপনারা যদি আমাকে পছন্দ করেন জোড়া ফুল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থী কে জয়যুক্ত করুন।মনে রাখবেন বিজেপিকে একটি ও ভোট নয়। বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করুন আপনাদের শাসিত রাজ্যে মেয়েরা কি নিরাপদ? ওরা মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে সম্প্রীতি নষ্ট করছে, কংগ্রেস সিপিএম কে ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না ; ওরা জগাই বিজেপি মাধাই।
এগরা-২ এর শুটকি বাজার পার্শস্থ মাঠে তৃণমূল প্রার্থী তরুণ কুমার মাইতির সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় শুক্রবার দুপুরে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণের নিশানা করে কথাগুলো বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে তীব্র শ্লেষে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন- এখন বিজেপির পুরনো কর্মীরা মনের দুঃখে ঘরে বসে কাঁদছে, সিপিএমের হার্মাদরা এবং তৃণমূল থেকে চার চাট্টা চিটিংবাজরা বিজেপিতে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমার শরীর, দুই হাত ও মাথায় আঘাতে ভাঙাচোরা, পায়ে আঘাত ছিল না। আঘাতে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবেনা, জীবন থাকতে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়বোনা। উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা তৃণমূলের সঙ্গে আছেন তো? কানায় কানায় মাঠ ভর্তি বিপুল হর্ষধ্বনি জানান দেয় তারা তৃণমূলের পাশে। এরপর বলেন খেলা হবে তো ?আপনারা ২৭ শে মার্চ খেলার জন্য তৈরি থাকুন। বলেন এবার নিয়োগ হবে সরাসরি কোন মাধ্যম থাকবে না, এর আগে অনেক গদ্দারি হয়েছে বুঝতে পেরে ছি। এর নিশানায় যে অধিকারিরা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সভায় এনসিপি রাজ্য সভাপতি প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রী অধ্যাপক প্রবোধচন্দ্র সিনহা উপস্থিতি এগরার জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনাদের আশীর্বাদে আমি দীর্ঘদিন সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, এবার এগরার উন্নয়নে তৃণমূল প্রার্থী তরুণ কুমার মাইতিকে জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমাদের দলে বিজেপির উগ্ৰ-সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতির আগামী দিনের ভয়াবহতা রুখতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেন্দ্র বিজেপির সাম্প্রতিক কৃষি ও শ্রম আইনের বিরোধিতা করে বলেন এরা কৃষি ও কৃষককে শেষ করতে নেমেছে। কৃষকরা আন্দোলনে রাস্তায়। এরা বেচারাম সব বিক্রি করে সরকার চালাচ্ছে। এরা আগের সরকারের সমালোচনা করে বলে তারা নাকি কিছু করেনি। ওরা যদি কিছু না করে থাকে; যে সম্পদ বিক্রি করে দেশ চালাচ্চো সে সম্পদ কাদের? ওরা ক্ষমতায় এলে রাজ্যটাকে বেচে দেবে। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার কোন স্থায়ী চাকরি থাকবে না বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এরা যে নিয়োগের গল্প শোনাচ্ছে ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাও ভাওতাবাজি। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী তরুণ কুমার মাইতি, বিধানসভার দলীয় কো-অর্ডিনেটর ড:বাদল অশ্রু ঘাটা, বিধায়ক অখিল গিরি, জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা যুব সহ-সভাপতি সন্দীপ পাত্র, জেলা সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান সেখ আনোয়ার উদ্দিন, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট প্রকাশ রায় চৌধুরী, দুই ব্লক সভাপতি বিজন বিহারী সাউ ও স্বরাজ খাঁড়া, পঞ্চায়েত সমিতির দুই সভাপতি অমিয় রাজ ও দীনেশ প্রধান, শহর সভাপতি উত্তম দাস, শিক্ষক নেতা রজত বেরা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন দলের এগরা -১এর প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ সারথি দাস। এদিন পটাশপুর দাইতলা বাজারে ও প্রার্থীদের সমর্থনে
এবং মেচেদায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে অনুরূপা সভা হয়। পটাশপুরে প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুই ব্লক সভাপতি পীযুষ কান্তি পন্ডা ও মৃনাল কান্তি দাস, সহ-সভাপতি বিনয় পট্টনায়ক, মানস রায়, স্বপন কুমার মাইতি, পটাশপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ, জেলা পরিষদ সদস্য প্রমুখ।