গৌরীশংকর মাহাপাত্র: কাঁথি এগরা: পূর্ব মেদিনীপুর।তৃণমূলের পাপের ষোল কলা পূর্ণ হয়েছে, দু’মাস বাদে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন পরিবর্তন আসছে। বিজেপি সরকার সোনার বাংলা গড়বে। বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, মাতঙ্গিনী হাজরার বাংলায় কেউ বহিরাগত নয়। রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীতের কলি উচ্চারণ করে বলেন-” বিন্ধ হিমাচল যমুনা গঙ্গা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ” রবীন্দ্রনাথের এ তথ্য বলছে বাংলায় আপনার বহিরাগত তত্ব মানে না। মা-বোনেরা আপনাকে সাজা দিতে তৈরী। এই উপস্থিতির ছবি বলছে আপনার খেলা শেষ,বিকাশ শুরু। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার আসছে, তাদের লক্ষ্য সোনার বাংলা, সুশাসন ও উন্নয়ন ।নির্বাচনের আগে দিদি মেদিনীপুরে এসে বিভিন্ন অজুহাত নিচ্ছেন, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জবাব দিতে পারেন নি, ভাইপোর উইন্ডোজ কাটমানির টাকা ডুকছে। বাংলা জানতে চায় লকডাউনের গরিবের চাল কে লুট করেছে ?১০ বছরের পর এখন দুয়ারে দুয়ারে সরকারকে যেতে হচ্ছে, প্রকৃত উন্নয়ন কি হয়েছে ?তীব্র শ্লেষের সঙ্গে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলেন-” দিদি ও দিদি? আপনার প্রকৃত খেলা ধরা পড়েছে, ২রা মে বাংলার মানুষ আপনার কুশাসনের যোগ্য জবাব দিয়ে সাজা দিতে তৈরি, শুধু সময়ের অপেক্ষায়? কাঁথি রেলস্টেশন সংলগ্ন পদ্মপুখুরিয়া মাঠে বুধবার বিজেপি আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূল সরকার ও তার নেত্রী’কে আক্রমণ করে কথাগুলো বলেন ভারতবর্ষের বাগ্মী যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি আরো বলেন বিকাশ বিজেপির লক্ষ্য। বাংলা সোনার বাংলায়, কিষাণনিধি সুশাসন-উন্নয়ন চায়, শিক্ষা- শিল্প -কর্মসংস্থান- নারী সুরক্ষা বিজেপির লক্ষ্য। সব স্কীম’কে স্ক্যাম মুক্ত করবে, কাটমানি নয়; বিজেপি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেবে, করোনা’কালে মেয়েদের কোটি কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে দিয়েছে ।মেয়েদের জন্য ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, তৃণমূল এখানে কিছুই করতে দেয়নি। জনতার আওয়াজ শুনে বিজেপির ইশতেহার তৈরি করেছে। আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ, ফুড প্রসেসিং এর সুবিধা দেয় নি, বাংলার কৃষকরা নির্মমতা ভুলতে পারছে না। এরপর তিনি জানতে চান বিজেপি ক্ষমতায় আসছে তো? বিশাল জনসভা জানান দেয় তারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে আসল পরিবর্তন আনছে।
সভায় উপস্থিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নন্দীগ্রাম বিধানসভার প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে বলেন- ছাত্র-যুবকদের চাকুরী না দিয়ে দিদি প্রতারণা করেছেন। দিদি কে ভোট না দেওয়ার ও আহ্বান জানান। বলেন আপনারা জিজ্ঞেস করুন তো? কেন তিনি পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন। এত যদি উন্নয়ন করেছেন তাহলে ১৯ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড তুলে তো ভোট চাইতে পারেন,অসুবিধা কোথায়?
নন্দীগ্রামে ভোট যুদ্ধে যাত জয়লাভ করতে পারেনি তারা আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন উপস্থিত জনগণ জনার্দনের কাছে। ২০-৩০ উপস্থিত যুব যুবা বিপুল হর্ষধ্বনিতে জয় কামনা করেন। তিনি দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি প্রার্থী অরূপ দাস, উত্তর কাঁথির প্রার্থী সুমিতা সিনহা, খেজুরীর শান্তনু প্রামানিক, ভগবানপুরের রবীন্দ্রনাথ মাইতি, রামনগর কেন্দ্রে স্বদেশ নায়ক, পটাশপুর কেন্দ্রের ড: অম্বুজাক্ষ মহান্তি সহ জেলার সমস্ত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, রাজ্য নেতা মলয় সিনহা ,তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়ক, জেলার দুই সাধারণ সম্পাদক তাপস দোলাই ও সুদাম পন্ডিত প্রমুখ। স্বাগত ভাষণ দেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ কুমার চক্রবর্তী ।সঞ্চালনায় জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র।