শুভম সিং:এগরা কাঁথি :পূর্ব মেদিনীপুর।
৪ঠা মার্চ রবিবার সন্ধ‍্যা ৯-১৮ মিনিটে সমাজসেবী ও সংগঠক মুক্তেশ্বর কামিলা (৬৫) কাঁথি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাসে ত‍্যাগ করেন। বেশ কয়েক মাস কোমরের যন্ত্রনায় ভূগছিলেন, ডাক্তারের পরামর্শেবেল্ট ব‍্যবহার করতেন। সম্প্রতি কয়েক দিন হালকা জ্বর উপেক্ষা করে কাজ করেছেন, শনিবার মেয়েকে নিয়ে মাঠে কাজ করতে ও দেখছে লোকে। শনিবার জ্বরের সঙ্গে সারা শরীরে যন্ত্রণা অনুভব করেন। আগেই বসন্তিয়া হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। মেয়ে বাবাকে নিয়ে এদিন সকালে ডা: ইন্দ্রনীল মন্ডল ও ডা: প্রসেনজিৎ সিনহার পরামর্শ মেনে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করে। ওখানে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।দুপুর থেকে বুকে ব‍্যথা ও শ্বাস কষ্ট বাড়তে থাকে। ডাক্তার ও নার্স দের টানা চেষ্টা পর সন্ধ্যা ৮-৫৯এ তীব্র শ্বাসকষ্ট থেমে যায়, ডা:৯-১৮তে মৃত ঘোষণা করেন। দেশপ্রানব্লকের চালতি পঞ্চায়েতের সরস্বতীপুর গ্ৰামের এই স্পষ্টভাষী যুক্তিবাদী নিজের সিদ্ধান্তে অনড় পরোপকারী হতদরিদ্র মুক্তেশ্বরবাবুর বিচার আচারে বৈষয়িক সিদ্ধান্ত সবার নজর কাড়ত। গ্ৰাম‍্য প্রতিষ্ঠানে তার অবদান কম ছিল না। সরস্বতীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন পরিচালন কমিটির সদস্য থেকে প্রতিষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধিতে সর্বোত সহযোগিতা করেছেন। বসন্তিয়া বালিকা বিদ্যালয়, ফুলবনী সার্বোজনীন দূর্গোৎসব কমিটি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার কাজের দক্ষতা ও যেদ সবার প্রসংশা কুড়িয়েছে। দেওয়াল লিখন, সারা বৎসর রাখি তৈরির কাজ, বিভিন্ন ডিজাইন তৈরী,রাজ মিস্ত্রীর কাজ এমন কি ইটভাটায় ইট কাটার কাজ ও ছিল তাঁর পেশার মধ্যে। কোন কাজকে কখনো ছোট করে দেখতেন না। যুক্তিবাদী এই সংগঠক বামপন্থা ছেড়ে কংগ্রেস পরে শাসকদলের শিবিরের এক পরিচিত মুখ, ইদানিং আবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে দূরে রাখতেন।তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্য অপূর্ব পাহাড়ী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরীশংকর মহাপাত্র ও শিক্ষক নিতীশচন্দ্র পন্ডা সহ কাতারে কাতারে মানুষ হাসপাতালে পৌঁছায়। মৃত্যু কালে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, বিবাহিতা দুই কন্যা জামাতা দুই পুত্র ও অসংখ্য গুনমুগ্ধ ও শুভানুধ্যায়ী। সোমবার গ্ৰাম‍্য শশ্মানে তার শেষকৃত‍্য সম্পন্ন হওয়ার কথা জানান তার ছেলে রঘুনাথ কামিলা।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *