গৌরীশংঙ্কর মহাপাত্র :দৈনিক আবেশভূমি :এগরা কাঁথি, মেদিনীপুর পূর্ব পশ্চিম ও ঝাড়গ্রাম।
“মৃত্যুর ঝর্ণা স্থির করে তোলে জীবনের জলকে।”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন শ্রীরামপুর হরপ্রসাদ হাই স্কুলের প্রথিতযশা প্রাক্তন শিক্ষক অনন্ত কুমার মাইতি(৭৬) । স্বাধীনতার এক বৎসর আগে ১৯৪৬ এ জন্ম শ্রীরামপুরের নিরহংঙ্কারী, সদালাপী, মিশুকে,ধপধপে্ ধূতি পাঞ্জাবী সর্বস্য ডান পন্থায় আস্থশীল সুন্দর মনের এই ভূমি পুত্রের ধারণা মানুষের সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা যায় ।এই দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে বেশি ভালো বাসতেন। সেই সেবার পথ ধরে শিক্ষক পরবর্তী জীবনে রাজনীতির আঙ্গিনায় অনুপ্রবেশ শুধু নয় বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে এলাকার উন্নয়নের শরীরিক।১৯৭৬ এ নিজের গ্ৰাম ও নিজ স্কুলে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সহ শিক্ষক হিসেবে যোগদান,পরে এম এ বাংলা ভাষা সাহিত্যের সহ শিক্ষক বিধায় ২০০৬এ এই বিদ্যালয়ে অবসর গ্রহণ। জীবনে শিক্ষকতা ও রাজনীতির পাশাপাশি, সমালোচনার উর্দ্ধে উঠে মেরুদন্ড সোজা রেখে সামলেছেন রেশন পরিষেবার কাজটিও।ছোটো ছেলে সিদ্ধার্থসখা বর্তমান হাইস্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি। মাইতি বাবুর মরদেহ শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনা হলে শেষ দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে। চোখের জলে সবার প্রিয় মাইতি বাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানান শ্রীরামপুর হরপ্রসাদ হাইর প্রধান শিক্ষক পুষ্পেন্দু কুমার মাইতি, দেবাংশু দাস , দেবাশিস জানা , মানস কুমার মাইতি, অমরেশ্বর মিশ্র, দেবাশিস রায় , নির্মল দাস , অঞ্জন পাত্র, নির্মলেন্দু বর্মণ,বিবেক মাইতি,সুজিত মান্না প্রমুখ।
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত প্রধান , পরিচালন কমিটির সদস্য, গ্রামবাসী,ছাত্রছাত্রী।মৃত্যুর কালে রেখে গেলেন স্ত্রী, প্রতিষ্ঠিত তিন পুত্র, পুত্রবধূ , নাতি ও অসংখ্য গুনমুগ্ধ। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।