আবেশভূমি:-নদী ও সমুদ্রে ঘেরা পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র বাঁধ রক্ষায় দায়িত্ব সেচ দপ্তরের ।এলাকার বাঁধ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য চেষ্টা করার কথা বন বিভাগের। মৎস্যজীবী সংগঠনের অভিযোগ বন দপ্তর সঠিক ভাবে ভাঙ্গন আটকাতে পারে এমন বনাঞ্চল তৈরি করতে ব্যার্থ। সমুদ্র উপকূলে চলছে দেদার গাছ লুট, তা আটকাতে ব্যার্থ বন দপ্তর। বিজেপির দাবি জুনপুট থেকে দিঘা চোরা কারবারীদের সাথে জেলার বন দপ্তরের যোগ সাজস আছে। যে কারণে উপকুলে সারি সারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে । জেলার বনদপ্তরের বড় কর্তা বলছেন সমুদ্র ভাঙ্গনের ফলেই গাছ পড়ছে এটা চুরি নয়।
কিন্তু এই ভাঙ্গন পরিস্থিতি তৈরির জন্য কি বন দপ্তর দায়ী নয় !সঠিক ভাবে গভীরে বিস্তৃত হয় এমনবৃক্ষ রোপন যদি করতো তা হলে দিনে দিনে বন ভূমি ক্ষতি হত না।সরকারি অর্থ অপচয় করে সস্তার ঝাউ গাছ লাগিয়ে নিজেদের গা ঢাকতে চাইছেন জেলার বন দপ্তর।যদি সঠিক ভাবে বনাঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করতো জেলার বন দপ্তর তা হলে এই অবস্থা হতো না।
‘যদিও সমগ্ৰ অভিযোগ নিয়ে জেলার বন আধিকারিক সত্যজিৎ রায় সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে চাননি।’
‘এই নিয়ে সুর চরিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অসীম মিশ্র বলেন ওনারা তো মুখে কুলুপ আঁটবেন কারণ এই সব গাছ চোরদের সাথেই ওনাদের আঁতাত রয়েছে ভাগ পান তাই চুপ।’
‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, জলোচ্ছ্বাসের ফলে সমুদ্র ভাঙ্গন হচ্ছে ঠিক কথা। পাশাপাশি গাছ চুরি নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে। কিন্তু কেন এই এলাকার গাছ চুরি হচ্ছে বন দপ্তরের কি ভূমি তা আমরা খতিয়ে দেখবো নিশ্চিত।’