আবেশভূমি:- কৃষ্ণ নাম করতে করতে বৈষ্ণবলোকে পাড়ি দীঘার শিক্ষক নেতা পূর্ণেন্দু দাস(৯০)। ৩ আগষ্ট শনিবার বিকেল ৪-৩০ মি: মধুমাখা কৃষ্ণ নাম করতে করতে শেয নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আচার্য হেমন্ত কুমার দত্তের দীঘা বিদ্যাভবনের প্রথম দিকের প্রিয় ছাত্র। প্রাথমিক শিক্ষক হয়ে শিক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হযে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা হয়েছিলেন। অজিত খাঁডার আবেদনে অলঙ্কারপুরে তৈরী করেছিলেন শিক্ষক ভবন ।১৯৭১সালে মূলত তিনিই উদ্যেগী হযে গুরুদেব হেমন্ত বাবুকে রামনগর বিধানসভায় নবকংগ্রেসের প্রার্থী করেছিলেন। ১৯৭২ সালে হেমন্ত বাবু বিধায়ক হন এবং তিনি ছিলেন তার ইলেকসান এজেন্ট। দীর্ঘ সময়ের রামনগর -১ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।তাঁর মতো শিক্ষক নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের দক্ষ সাংগঠনিক নেতার মৃত্যুতে কংগ্রেস নেতা দীপক কুমার দাস গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন- ‘আমরা এক কর্মী দরদী নেতাকে হারালাম।” তিনি তাঁর ভ্রাতুস্পুত্র রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ‍্যক্ষ উত্তম দাস, পুত্র অধ্যাপক নির্মাল্য দাস ও কন্যা ইন্দিরাসহ সন্তপ্ত পরিবার বর্গকে গভীর সমবেদনা জানান। প্রসঙ্গত পূর্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে কংগ্রেস নেতা শৈলজা দাস, রাধাশ্যাম জানা ও জ্যোতির্ময় করদের ছিল দাদা -ভাইয়ের মধুর সম্পর্ক ।বিধায়ক ত্রৈলোক্যনাথ প্রধান এর পর রামনগরে হেমন্ত বাবুর বিধায়ক কালে যা কিছু উন্নয়নে তদারকির দাযিত্বে ছিলেন পূর্ণেন্দুবাবু।ধূতি পাঞ্জাবী চপ্পলে আস্থাশীল প্রবল যুক্তবাদী সদা হাস‍্যময় আজীবন ডানপন্থী নিরহংঙ্কারী এই শিক্ষক নেতার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন প্রিয়জন ও অগণিত ছাত্র-ছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ী পূর্ণেন্দু দাস।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *