আবেশভূমি, গৌরীশংকর মহাপাত্র:- বন দফতরের মহিলা পদাধিকারিকের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ। কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অখিল গিরি। বিধানসভায় গেলেন, কিন্তু দেখা পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মুখ্যসচিবের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন অখিল। কিন্তু তাঁর ইস্তফা দেওয়া, বিধানসভায় যাওয়া নিয়েও চলল একপ্রস্ত ‘নাটক’। অখিল রীতিমতো ঘোল খাওয়ালেন সাংবাদিকদের।
রবিবার সাংসদ সুব্রত বক্সীর ফোন করে অখিলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা। তাঁকে ইস্তফা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া নিয়ে তাঁর কোনও দুঃখ নেই। আর ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, ক্ষমা চাইতে হলে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই ক্ষমা চাইবেন। আর কারোর কাছে নয়। বেলা ১১টা নাগাদ হস্টেল থেকে রওনা দেন এমএলএ হস্টেলের উদ্দেশে। সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি এমএলএ হস্টেলে পৌঁছে যান। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে রওনা দেন বিধানসভার উদ্দেশে।
বিধানসভা অদূরেই অখিলের গিরি। তার পিছনেই সাংবাদিকদের গাড়ি। কিন্তু হঠাৎ গান্ধী মূর্তি পাদদেশের সামনে দাঁড়িয়ে যায় অখিল গিরির দুধ সাদা গাড়ি। তখনও পর্যন্ত তিনি ইস্তফাপত্রে সই করেননি। গাড়ির ভিতরে বসেই ইস্তফাপত্রে সই করতে দেখা যায় অখিল গিরিকে। এবার আশা করা যায়, গাড়ি হয়তো রওনা দেবে বিধানসভার উদ্দেশেই। কিন্তু আচমকাই ইউটার্ন। গাড়ি ঘুরিয়ে ফের এমএলএ হস্টেলের দিকেই আসে অখিল গিরির গাড়ি। কিন্তু কেন? চরম জলঘোলা তৈরি হয়। জানা যায়, মুখ্যসচিবের তরফ থেকে বার্তা এসেছে অখিলের কাছে। বিধানসভায় নয়, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কাছেই পাঠিয়ে দিতে হবে ইস্তফাপত্র।
ঘণ্টা দেড়েক পর আবার অখিলের গাড়ি বের হয় হস্টেল থেকে। তখন ঘড়িতে ১২.০৮। এবার আবার অখিলের গাড়ি রওনা দেয় বিধানসভার উদ্দেশে। কিন্তু অখিলের গাড়ি ছাড়িয়ে যায় বিধানসভা। বিধানসভা ছাড়িয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকে অখিল গিরির গাড়ি। তারপর ৬ নম্বর গেট দিয়ে সকলকে আড়াল করে বিধানসভায় ঢোকে অখিলের গাড়ি। তবে বিধানসভায় গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা পাননি অখিল। মুখ্যসচিবের কাছেই ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা না পেয়েই বিধানসভা থেকে ফিরতে হয় তাঁকে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *