আবেশভূমি:- অবিলম্বে সমুদ্র সাথী প্রকল্পের টাকা দিতে হবে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন ফোরামের। ‘ওটা গিমিক’ দাবি পদ্মশিবিরের। রাজ্য বাজেটে ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপরই দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েক হাজার সামুদ্রিক মৎস্যজীবী এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। ব্যান পিরিয়ড ১৪ জুন শেষ হয়েছে। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এক মাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও অবধি উপভোক্তারা সরকারের ঘোষণামতো টাকা পাননি বলে দাবি তাঁদের। ফোরামের সভাপতি দেবাশিষ শ্যামল বলেন, “দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম মাছ ধরা বন্ধের সময় (ব্যান পিরিয়ড) সামুদ্রিক ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে জীবিকা সহায়তা প্রদান করার দাবি জানিয়ে এসেছে। সেই দাবির যৌক্তিকতা বিচার করে বাজেটে সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিকবার দফতরের বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। দফতর থেকে বলা হচ্ছে সমুদ্রসাথীর বরাদ্দ এখনও আসেনি। বরাদ্দ এসে গেলে উপভোক্তারা টাকা পেয়ে যাবেন।”যদিও ক্যামেরার সমানে কিছু বলতে রাজি হননি জেলা মৎস্য আধিকারিক সুমন সাহা। দেবাশিস বাবুর কথায় ২০১৫ সাল থেকে রাজ্যে সঞ্চয় ও ত্রাণ প্রকল্প বন্ধ।

    পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে মাছ ধরার সময় কমে গিয়েছে। ডিআরডিওর ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার কারণে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি। এইসব কারণে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকা বিপন্ন। ব্যান পিরিয়ডে তাই জীবিকা সহায়তা একান্ত প্রয়োজন। সেই কারণে অবিলম্বে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের সমুদ্রসাথী প্রকল্পের জীবিকা সহায়তা প্রদান করা হোক। যদিও সমগ্ৰ বিষয়টি নির্বাচনী গিমিক বলেই তীব্র কটাক্ষ ছুড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।অপরদিকে, জেলা পরিষদ সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, “সমগ্ৰ বিষয়টি একটি প্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা মত ঠিক সময়ে বেনিফিসারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।”

    Share

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *