রাজকুমার মহাপাত্র,আবেশভূমি ডিজিটাল , এগরা কাঁথি , মেদিনীপুর পূর্ব পশ্চিম ও ঝাড়গ্ৰাম।দ্বাদশ বর্ষ এগরা মহকুমা বইমেলার পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবার ছিল ভগবানপুর-১ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দিবস। সকালে মহাকুমাস্তরের সমস্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গুলি স্বর্ণময়ী প্রাথমিক ,শীতলা প্রাথমিক ও মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।মেলা কমিটির সম্পাদক জানান ব্লক স্তরের যারা প্রথম,দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে তাদের নিয়েই এই

    প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। ব্লক ও মহকুমাস্তরের সমস্ত পুরস্কার বিতরণী হবে ১ মার্চ বিকাল ৪ টায়। ফলাফল ঘোষণা হবে শুক্রবার। মেলায় “বালিঘাই জগন্নাথ সেবা সমিতি সাংস্কৃতিক” মঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাহিত্য সৃষ্টি এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও কাজলাগড় নিয়ে তথ্য নির্ভর বক্তব্য রাখেন কপ্তাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক অশোক বর্মন।ছিলেন ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার কামিলা, শিশু ও নারী কর্মাধ্যক্ষ শেফালী কর, বিদুৎ কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার দাস,জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ অমল কুমার শেঠ, শিক্ষক নেতৃত্ব সুতনু পন্ডিত, বিকাশ পন্ডিত, নারায়ন চন্দ্র মাইতি, অরুনাংশু বেরা,শিক্ষিকা বন্দনা পন্ডা শেঠ, অর্চনা দত্ত কর প্রমুখ। মেলা কমিটির পক্ষে যুগ্ম সহ-সম্পাদ সত‍্যব্রত সাহু,কার্যকরী সভাপতি বীর কুমার শী,কোষাধ্যক্ষ আশীষ দাস, কনভেনার তপন মন্ডল,কবি মানস মাইতি ও কিশোর নাগ উপস্থিত
      ছিলেন। সঞ্চালনায় গোবিন্দপ্রসাদ মন্ডল ।
      এই পর্বে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিচারক মন্ডলীকে স্মারক তুলে দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।“শিশুর জীবন গঠনে পিতা-মাতার অবদান” শীর্ষক আলোচনায় পৌরহিত‍্য করেন নেগুয়া হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ডঃ শিবশঙ্কর মহাপাত্র। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ললাট হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নবকান্ত জানা ,বাহিরি পূর্ণিমা গার্লসের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা অলকা জানা,
        খাড় হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার পন্ডা প্রমূখ।
        দ্বিতীয় পর্ব “সংস্কৃত ভাষার উৎপত্তি ও শাস্ত্রীয় প্রভাব” শীর্ষক আলোচনায় পৌরহিত‍্য করেন পালপাড়া কলেজের অধ্যাপক ড মৃণাল কান্তি দাস। আলোচনায় অংশ নেন এগরা রামকৃষ্ণ শিক্ষা মন্দিরের সহ শিক্ষক সৌভিক পন্ডা ও এগরা কেন্দ্রিক দক্ষিণ মেদিনীপুর জেলা প্রস্তাবক কমিটির সভাপতি ডা বাদল অশ্রু ঘাটা। সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানে “নষ্টনীড়” এর সঙ্গীত ও নিত্যানুষ্ঠান,”বাচিকায়ন ও গুরু কুল” এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আশুতোষ নন্দীর ম্যাজিক শো মঞ্চস্থ হয়। মঞ্চ সহযোগিতায় রামধনু ঘাটা। শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মেলা কমিটির সম্পাদক গৌরীশংকর মহাপাত্র।

          Share

          Leave a Reply

          Your email address will not be published. Required fields are marked *